The important part is body.Body is important part is hair.hair types is 5 way at home.Types of hair care properly.
চুল মানুষের সৌন্দর্য প্রকাশ এর অন্যতম মাধ্যম। তাই সবসময় চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।প্রতিদিন কিছু নিয়ম মেনে চললে চুল হবে সুন্দর।শীতকালে যেমন ত্বকের যত্ন করা প্রয়োজন, একইভাবে আপনার চুলেরও প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম হয়ে যাওয়ায় কিন্তু নানা সমস্যাই শুরু হতে থাকে। কারও কারও অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ে। আবার কারও ক্ষেত্রে চুল হয়ে ওঠে ভীষণ রুক্ষ ও শুষ্ক। ফলে ডগাও ফাটতে শুরু করে। এই জন্য় সম্পূর্ণ শীতজুড়েই চুলের বিশেষ যত্ন করা উচিত। আপনার হেয়ার কেয়ার রুটিনেও সামান্য পরিবর্তন আনা উচিত।
শীতের পাশাপাশি, চড়া রোদ এবং দূষণও আপনার চুলের ক্ষতির জন্য দায়ী। তাই সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। এই শীতে চুল ভালো রাখার জন্যে অন্তত ৫ টি নিয়ম মেনে চলুন। এই সহজ ৫ নিয়মই আপনার চুলের নানা সমস্যা সারিয়ে দিতে পারে।
চুলের সঠিক যত্ন নেওয়ার জন্যে আপনাকে অনেক কিছু করতে হবে তা নয় একটু সতর্ক হলেই হবে। যেমন ধরেন আপনাকে চুলে তেল লাগাতে হবে।মানুষ বর্তমান তেল লাগাতে চায় না।কিন্তু চুল এর যত্নে তেল খুব প্রয়োজন। তাই সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন আপনাকে চুলে লাগাতেই হবে। হাতে নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল নিয়ে সামান্য গরম করে নিন। সেটি হাতের তালু এবং আঙুলের সাহায্য়ে ভালো করে চুলের গোড়ায় এবং স্ক্যাল্পে মালিশ করে নিন। ১-২ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
শীতকালে স্ক্যাল্পে তেল লাগালে আর্দ্রতার পরিমাণ বজায় থাকে,শুষ্ক তা কমে। চুলও সঠিক পরিমাণে পুষ্টি পায়। তাই চুল ভালো থাকে।
নিয়মিত শ্যাম্পু করাও প্রয়োজন। তেল মাখার পাশাপাশি শ্যাম্পু করাও দরকার। শ্যাম্পু স্ক্যাল পরিষ্কার রাখে এই কাজ আপনার স্ক্যাল্পকে পরিষ্কার রাখবে। স্ক্যাল্প পরিষ্কার না থাকলে চুলের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুল পড়া বাড়তে পারে। এছাড়াও স্ক্যাল্প অপরিষ্কার থাকায় খুশকির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আপনাকে সঠিক চুলের যত্ন করতে হলে নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা দরকার,স্ক্যাল পরিষ্কার না থাকলে চুল পড়বে,রুক্ষতা বেড়ে যাবে,চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। তাই পরিমাণমতো শ্যাম্পু নিয়ে তা স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে নিন। সেই ফেনা তারপর চুলেও লাগিয়ে নিন। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু রয়েছে।এইগুলা দিয়ে ভালো করে স্ক্যাল্প মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
চুল ভালো রাখার জন্যে যেমন স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন, তেল লাগানো প্রয়োজন, একইভাবে হেয়ারপ্যাকও লাগানো দরকার। নাহলেই কিন্তু চুলের সমস্যা বাড়তে পারে।নিয়মিত হেয়ারপ্যাক ব্যবহার চুল অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে। তাই মেহেদী, আমলকি,মেথি,এলোভেড়া,কলা,জবা,হরিতকি, আরো অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা দিয়ে সহজে ঘরে বসে হেয়ার প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করা যায়। হেয়ারপ্যাক আপনার চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেবে। তাই হেয়ারপ্যাক লাগালে চুলও পুষ্টি পায়। চুল থাকে নরম। আপনি বাজারচলতি হেয়ারমাস্ক কিনে ব্যবহার করতে পারেন। নাহলে ঘরোয়া হেয়ারপ্যাকের সাহায্যে ও চুলের যত্ন নিতে পারেন।
চুল ভালো রাখার জন্যে কিন্তু এই দুই ধাপও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক চিকিৎসকই চুলের কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করাতে বারণ করেন। আপনিও এদিকে খেয়াল রাখতে পারেন। তবে হেয়ার স্পা করা প্রয়োজন। মাসে অন্তত একটি স্পা করান। এতে আপনার চুল ভালো থাকবে। চুলের বৃদ্ধি ঠিকঠাক রাখার জন্য প্রতি তিন মাস অন্তর ট্রিমিং করান। আপনার লম্বা চুলের স্বপ্ন পূরণ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। তাই এদিকে খেয়াল রাখবেন।
চুল আবার বিভিন্ন ধরনের। সকল চুলের যত্ন একরকম নয়।ধরন ভেদে চুলের যত্ন নিতে সহজে সুন্দর চুল পাওয়া যায়। ধরন ভেদে চুলের যত্ন। ধরন ভেদে ৩ রকমের চুল।যেমন হাই, মিডিয়াম,লো।
পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে এই ধরনের চুল একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের চুল সেটিকে অনেকক্ষণ ধরে রাখতে পারে। লো পোরোসিটি চুলকে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে পারলে তা দীর্ঘক্ষণ বজায় থাকে এবং চুল হেলদি দেখায়,সুন্দর দেখায়। এ ধরনের চুল সহজে শুকাতে চায় না,শুকাতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়। চুল হেলদি দেখালেও চুলে বাউন্সি ভাব বা ভলিউম কম থাকে,যার ফলে চুল অনেকটা ফ্ল্যাট দেখায়।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের চুলের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট। চুলের পোরোসিটি অনুযায়ী প্রোডাক্ট বাছাই করতে হবে। এতে চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে লো পোরোসিটি চুলের যত্ন নিবেন-
তেল চুলে হাইড্রেশন ও ময়েশ্চারাইজেশন দেয়। তাই চুলে অবশ্যই তেল ব্যবহার করতে হবে। লো পোরোসিটির চুলে যেহেতু ছিদ্রের পরিমাণ কম, তাই একটু হেভি ওয়েটের তেল সহজে চুলে পেনেট্রেট করতে পারেনা এবং ময়েশ্চার প্রদান করতে পারেনা। তাই সবসময় লাইটওয়েট ও কম ঘনত্বের তেল ব্যবহার করুন। এ ধরনের চুলে মানানসই তেলগুলো হলো তিলের তেল, বাদাম তেল, কাঠবাদাম তেল, আর্গন অয়েল, বিভিন্ন প্ল্যান্ট ও ফ্লাওয়ার বেজড তেল, অ্যাভোক্যাডো তেল ইত্যাদি।
শ্যাম্পু বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজিং, হেভি কনসিসটেন্সি, স্মুথ টেক্সচার ইত্যাদি শ্যাম্পুগুলো এড়িয়ে চলুন। কারণ এ ধরনের শ্যাম্পু গুলো তুলনামূলক বেশ ভারি হয়ে থাকে,যার ফলে চুলের উপর একটি ভারি লেয়ার ফেলে। যার ফলে চুল আরো বেশি ফ্ল্যাট মনে হয়। তাই সবসময় ভলিউমিনাইজিং, ডিপ ক্লিনিং শ্যাম্পু, ক্ল্যারিফায়িং শ্যাম্পু ও হালকা টেক্সচারের ক্লিয়ার শ্যাম্পু গুলো লো পোরোসিটি চুলের জন্য ব্যবহার করা উচিত।
চুলের যত্নে কন্ডিশনার স্কিপ করা যাবেনা। এক্ষেত্রে হাইড্রেশন দিবে এমন ধরনের কিছুটা হালকা টেক্সচারের কন্ডিশনার বাছাই করতে হবে। ভারি কন্ডিশনার চুলকে ফ্ল্যাট করে দিতে পারে। তাই হেভিওয়েট কন্ডিশনার স্কিপ করতে হবে।
কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছুটা লাইটওয়েট মাস্ক ব্যবহার করলেই ভালো। সপ্তাহে একদিন বা দশ দিনে একবার ব্যবহার করুন,বা মাসে একবার এর বেশি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কেউ চাইলে ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক স্কিপ করতে পারেন, যদি রেগুলার কন্ডিশনারই তার চুলের জন্য যথেষ্ট হয়। রেগুলার কন্ডিশনার যদি পর্যাপ্ত হয় তাহলে ডিপ কন্ডিশনিং প্রয়োজন নেই।
চুলের যত্নে লাইটওয়েট হেয়ার সিরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। শাওয়ারের পর হালকা ভেজা চুলে হেয়ার সিরাম বা নন স্টিকি অয়েল ব্যবহারের ফলে চুলে হাইড্রেশন লক হবে, যা এ ধরনের চুল দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে থাকে। লিভ ইন কন্ডিশনারও অনেকটা এরকম।
লিভ ইন কন্ডিশনার চুলে লাইটওয়েট হাইড্রেশন ও ময়েশ্চারাইজেশন দিবে। লিভ ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর হেয়ার সিরাম অ্যাপ্লাই করা যেতে পারে হাইড্রেশন লুকের জন্য। বেশ কিছুটা ভারি হয়ে থাকে স্টাইলিং ক্রিম। তাই পরিমাণে খুবই অল্প ব্যবহার করতে হবে।
চুলের যত্ন আর ও একটি উপায় হলো হিট স্টিম। চুলের যত্নে তেল অথবা হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের পর হিট স্টিম নেওয়া যেতে পারে। হিট স্টিম কার্যকরী হেয়ার কেয়ার। এর ফলে সহজে চুলে ময়েশ্চার অ্যাবজর্ব হয়।
সুন্দর ও ঝলমলে চুল পেতে দৈনিক কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অভ্যাস গুলো হলো -
১. চুল যত ভেজা থাকে ততই ড্যামেজ হয়। তাই গোসলের পর দ্রুত চুল শুকানোর চেস্টা করতে হবে।
২. চুল প্রাকৃতিক উপায়ে শুকানো উচিত। হেয়ার ড্রাই দিয়ে চুল শুকানো উচিত না।অনেকেই চুল রোদে শুকাতে পছন্দ করেন। কিন্তু চুল রোদে শুকানো থেকে বিরত থাকতে হবে, কারন ইউভি রে চুল শুষ্ক ও ড্যামেজ করে দিতে পারে,এতে চুল নষ্ট হয়ে যায়।
৩. হিট স্টাইলিং করার ক্ষেত্রে অবশ্যই হিট প্রটেক্ট করে এমন হেয়ার সিরাম বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
৪. ভেজা চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
৫. মোটা দাঁতের কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন।
৬.সপ্তাহে অন্তত একবার হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন।
৭.দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও পুষ্টিকর এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
৮. তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন।
৯. প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও বাদাম খান।
১০. শক্ত করে চুল বাধলে চুল নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য শক্ত করে চুল না বেঁধে হালকা বেনি বা পনিটেইল ইত্যাদি স্টাইল বেছে নিন।
১১.খুব জোরে জোরে চুল ব্রাশ করবেন না। এতে চুলের কিউটিকল লেয়ার ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
মানুষের সৌন্দর্যে অন্যতম বাহ্যিক মাধ্যম চুল। প্রতিটা মানুষ চায় ঝলমলে আকর্ষনীয় চুল।চুল পরলে মানুষের মন খারাপ থাকে।চুল কে প্রানবন্ত রাখতে চাইলে চুলের সঠিক যত্ন প্রয়োজন। প্রতিদিন কিছু অভ্যাস চুল হয়ে ওঠে সুন্দর। ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে সহজে যত্ন নেওয়া যায়।