Eye is very important part in body.so proper eye care is very important. So eye care is different ways.Sometimes cheakup eye specialist.
চোখ আমাদের শরীর এর অন্যতম অংশ। চোখের সাহায্যে মানুষ পৃথিবীর অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।এজন্য ছোট বড় সকলের চোখের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কিভাবে সহজে চোখের যত্ন নেওয়া যায় সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিচে দেয়া হলো।
মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের দিকে চেয়ে থাকা ইতোমধ্যেই ছিল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক চিত্র। এগুলোর জন্য চোখের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এর হলে মানুষ চোখে কম দেখা,চোখ থেকে পানি পরা ইত্যাদি কঠিন কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
আর এখন যতক্ষণ একটা মানুষ জেগে থাকে, তার প্রায় সবটুকু সময়ই চোখ থাকে কোনো না কোনো ‘ডিভাইস’য়ের পর্দায়।
গেইম খেলা, ভিডিও দেখা, অফিসের কাজ, অনলাইন মিটিং, আত্নীয়দের সঙ্গে আলাপ সবই এখন মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে হয়। সব মিলিয়ে চোখের ওপর দিয়ে প্রতিদিন যাচ্ছে উপর্যুপরি ধকল। আবার সেগুলো বাদ দিলে সময় কাটানোই যেন মুশকিল।
এমন পরিস্থিতিতে চোখের ওপর কীভাবে চাপ কমানো যায়, কিভাবে চোখের যত্ন একটু যত্ন নেওয়া যায়?চোখের সঠিক যত্ন নিতে না পারলে মাথা ব্যথা,চেহারা নষ্ট, অনেক বড় বড় রোগ,ঘুম কম,মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এই বিষয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের টাইটান আই কেয়ার’য়ের ‘অপ্টোমেট্রি অ্যান্ড ট্রেইনিং’ বিভাগের প্রধান রামেশ পিল্লাই বলেন, “হঠাৎ করে বৈদ্যুতিক পর্দায় তাকিয়ে থাকার মাত্রা বেড়ে গেলে চোখে শুষ্কতা ও খচখচেভাব দেখা দেয় আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় , দৃষ্টি ঘোলাটে হয় বা অস্পষ্ট দেখে, হতে পারে মাথাব্যথা। সেই সঙ্গে আরও ব্যথা হতে পারে ঘাড়, পিঠ ও কাঁধে। এই সমস্যাকে ‘কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম’ বা ‘ডিজিটাল আই স্ট্রেইন’ও বলা হয়। যা পরে বিভিন্ন বড় বড় সমস্যা ডেকে আনে।”
একটানা লম্বা সময় বৈদ্যুতিক ডিভাইসের , পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের ওপর চাপ পড়ে এবং তা শুকিয়ে যায়। তাই ১৫ মিনিট পির অর বিরতি নেওয়া প্রয়োজন। প্রতি বিশ মিনিট পর ২০ ফিট দূরে কোনো কিছুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকার অভ্যাস করতে হবে। এই নিয়মটি ২০-২০-২০ নামেও পরিচিত। এতে চোখ বিশ্রাম পাবে, চোখের ক্ষতি কমবে।তাই বেশিক্ষণ মোবাইল, কম্পিউটার, টেলিভিশন এর দিকে তাকানো উচিত না।
কিছু সময় পর পর চোখের পলক ফেলা জরুরি। বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের পলক ফেলার মাত্রা কমে যায়। আর একারণেই মূলত চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। পলক ফেলার মাধ্যমে চোখ আর্দ্রতা পায়, শুষ্কতা ও জ্বালাপোড়া কমে। তাই কিছু সময় পর পর পলক ফেলার পরিমাণ বাড়ান নিজ চেষ্টায়।
কোনো কিছুর লেখা ছোট ছোট থাকলে পড়তে যেমন অসুবিধা ঠিক তেমনি চোখের ও ক্ষতি। মোবাইল বা কম্পিউটারে কোনো কিছু পড়ার সময় সেগুলোর ‘ফন্ট’ বাড়িয়ে লেখা বড় করে নিতে হবে। এতে ডিভাইসটি চোখের কাছে আনতে হবে না কিংবা ভালোভাবে দেখার জন্য চোখ কুঁচকে তাকাতে হবে না। এতে চোখের ওপর ধকল বা প্রেশার যেমন কমবে তেমনি ডিভাইস থেকে দূরে থাকার কারণে ক্ষতির মাত্রাও কমবে।
বৈদ্যুতিক পর্দার বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ‘ব্রাইটনেস’, ‘রেজোল্যুশন’, ‘কনট্রাস্ট’ এগুলোর মাত্রা পরিবর্তন করে বা কমিয়ে তা চোখের জন্য সহায়ক করতে জানতে হবে। কড়া রোদে বৈদ্যুতিক পর্দা বা ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন একবার হলেও ডিভাইসের স্ক্রিন পরিষ্কার করতে হবে, যাতে দেখা সহজ হয়।
মনিটরের ‘সেটিংস’ পরিবর্তন করে কীভাবে উজ্জ্বলতা কমানো যায় সেদিকে মনযোগ দিতে হবে। মনিটরের উচ্চতা হওয়া উচিত চোখের সমান্তরালে এবং ৩০ সে.মি. দূরে রাখতে হবে । এতেও চোখের ওপর চাপ কমে।
মোবাইল ব্যবহারের সময় তা চোখের খুব কাছে থাকে। এতে চোখের যেমন ক্ষতি হয় বেশি তেমনি মোবাইলের দিকে ঝুঁকে থাকার কারণে ঘাড়েও ব্যথা হয়। তাই দূর থেকে মোবাইলের পর্দা দেখার অভ্যাস করতে হবে। ঘাড় বাঁকা না করে মোবাইল চোখের সমান্তরালে তুলে ধরার অভ্যাস করতে হবে। আর মোবাইলের ‘ব্রাইটনেস’ যেন চোখের জন্য সহনীয় হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
মনিটর বা টিভি জানালা থেকে দূরে থাকা উচিত।অন্ধকার করে মোবাইল কম্পিউটার চালানো উচিত না।রুমের লাইট অন করে ব্যবহার করা উচিত। জানালার দিকে মুখোমুখি বসে কম্পিউটার চালানো থেকেও বিরত থাকতে হবে। চোখে সমস্যা থাকুক আর না থাকুক ‘অ্যান্টি-রিফ্লেকশন’ কিংবা ‘ব্লু কোটিং’ দেওয়া চশমা ব্যবহার করতে হবে কম্পিউটার চালানোর সময়। সকল ‘এলইডি ডিভাইস’ থেকে চোখের জন্য ক্ষতিকর নীল আলো নিঃসরিত হয় যার সংস্পর্শে আসার মাত্রা অতিরিক্ত হলে বড় ক্ষতি হতে পারে।
‘ডিজিটাল আই স্ট্রেইন’ কমানো জন্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ খাবার থাকতে হবে খাদ্যাভ্যাসে। রাতে সময় মতো ঘুমাতে হবে এবং আট ঘণ্টা নির্ভেজাল ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। সবুজ শাকসবজি, গাজর, পেঁপে, খেজুর ইত্যাদি ভিটামিন এ’র উৎকৃষ্ট উৎস যা চোখের সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।
‘ওমেগা থ্রি অয়েল’ চোখ পিচ্ছিল রাখে, আর্দ্রতা যোগায়। ‘ফ্লাক্সসিড অয়েল’, ‘স্যামন’ ও ‘সার্ডিনস’ মাছ ওমেগা থ্রি অয়েল’য়ের আদর্শ উৎস। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ‘সাপ্লিমেন্ট’ও গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন চোখে ব্যবহার্য ‘লুব্রিকেটিং ড্রপ’, বিশেষ করে যারা ‘কন্ট্যাক্ট লেন্স’ ব্যবহার করেন। তবে এখানেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।তবে চোখের যে কোন সমস্যা অনুভব করার সাথে সাথে চিকিৎসক এর সরনাপন্ন হওয়া উচিত। তাছাড়া কোন সমস্যা মনে না হলে ডক্টর দেখানো উচিত।
ঘুমের মাধ্যমে চোখের বিশ্রাম হয়।দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। ঘুম এর সময় রুম এর লাইট অফ করে ঘুমানো উচিত, তাছাড়া নিরিবিলি পরিবেশে ঘুমানো উচিত যাতে ঘুম এ কোন ব্যাঘাত না ঘটে।দিনের বেলায় সুযোগ থাকিলে ১ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। তাছাড়া মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন।
চোখের যত্ন অন্যতম একটা মাধ্যম হলো সবুজ গাছের দিকে তাকানো। গাছ অক্সিজেন সরবরাহ করে।এজন্য কিছু সময় পর সবুজ গাছের দিকে তাকানো উচিত। এতে চোখ শান্তি অনুভব করে।চোখের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।চোখ ভালো থাকে।
আজকাল চশমার পরিবর্তে প্রায় অনেকে কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার বেশ দেখা যায় । কোনো কোনো চোখের সমস্যার জন্য রোগীর চোখের প্রয়োজনে চিকিৎসক লেন্সের ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও প্রসাধন সামগ্রী হিসেবে বা ফ্যাশন হিসেবে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার এবং ব্যবহার শেষে জীবাণুমুক্ত করে সলুশনে ডুবিয়ে লেন্স সংরক্ষণ করতে হবে। তবে চোখ লাল হওয়া, পানি পড়া, ময়লা জমা- এ জাতীয় উপসর্গ দেখা দিলে লেন্স ব্যবহার করা যাবে না এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
চোখে সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে যেটি বোধ হয়, তা হলো দৃষ্টি কমে যাওয়া। সাধারণত চোখ থেকে পানি পড়া, ময়লা জমা, চোখে ব্যথা বা লাল হওয়া এসব উপসর্গের ভিত্তিতে চোখের সমস্যা চিহ্নিত করা হয়।
অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত আই ড্রপ ব্যবহার একেবারেই অনুচিত। আই ড্রপ খোলার এক মাসের মধ্যেই ব্যবহার করতে হবে, এরপর ফেলে দিতে হবে। বছরে অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা এবং চোখের যেকোনো সমস্যায় অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ আবশ্যক।
বিসিএস প্রিলিমিনারি বিগত সালের প্রশ্ন পেতে নিচের লিংক প্রবেশ করুন click here
সরকারি ও বেসরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং আবেদন লিংক পেতে ভিজিট করুন click here
Code: 1638228TH